Articles published in this site are copyright protected.

না জ মা মো স্ত ফা

(এ এক অনন্য উদাহরণ আজ ২০২২ সালে ডিসেম্বরের পড়ন্ত প্রহরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ মির্জা আব্বাস, রিজভীরা বিনা অপরাধের আসামী। এর কারণ কি সেটি খুঁজতে গেলে দেখা যায় বিগত ২০১৪ সালের চিত্র অনেক সত্যকে স্পষ্ট করছে। এরা মুজিবের কন্যার বদৌলতে কখন কেন ও কিভাবে দেশে রাজতন্ত্র কায়েম হয়েছে তার সামান্য চাল চিত্র মাত্র। তাদের চুরি ডাকাতীকে লুকাতে তারা বড় সময় থেকেই এটি করে চলেছে।)

বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মানুষ কি পরিমাণ সংকট সময় পার করছেন তা ভুক্তভোগীরা জানেন। মনে হয় আওয়ামীলীগে এমন মানুষ খুব একটা অবশিষ্ট নেই যারা নীতির ধারায় চলেন। কারণ নীতিবান এ জায়গায় বারে বারেই হুচট খাবে, চলতে গেলে আটকে যাবে। মানবিক সুস্থ নীতির সাথে ওদের নীতি খাপে খাপে যায় না বলে একটি কথা বহুদিন থেকেই প্রচলিত ও প্রমাণিত। প্রমান হিসাবে আজকের ১৭ তারিখের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের একটি উক্তিই যথেষ্ট। “মেধার বিবেচনা না করেই ছাত্রলীগ কর্মীদের চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হোক”, এটি একটি আকুল আবেদন একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের, যিনি দলটির আহবায়কের ভূমিকায় আছেন। তার কথাতেই সুস্পষ্ট যে তিনি এর মাঝেই তার সকল বিবেক হারিয়ে বসে আছেন। ন্যায়শাস্ত্রে ঐ অপরাধে ঐ শিক্ষকেরই চাকরি চলে যাওয়া উচিত। এরকম নীতির ধারকরা ছাত্রদের কি শিক্ষা দিতে সক্ষম, একমাত্র সংকীর্ণ রাজনীতি আর গুন্ডামী ছাড়া তাদের সামনে আর কোন আদর্শ নেই। জ্ঞান অর্জনের ও বিতরণের আগেই তারা সুশিক্ষিত, বিনা সার্টিফিকেটেই আজ এরা চাকরী দাবীর উপর আকুল আবেদন জানাচ্ছে। এর প্রধান কারণ এসব ছাত্ররা সারাবছর গুন্ডামীতে থাকার কারণে থার্ড ক্লাসের বেশী কিছু বাগাতে পারে না। তাই স্বভাবতই অপকর্মে দক্ষ শিক্ষকের হাত লম্বা করতে তাদের পক্ষ থেকে আবেদন আসছে। এদেরে বলা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। এরা আসলেই ডাকাত গড়ার কারিগর। যাদের আদর্শ শূণ্যের কোঠাতে এদের কাছে গোটা জাতি অনিরাপদ অবস্থানে সময় পার করছে। এজন্য প্রতিটি অভিভাবকের ছাত্রদের এমনকি খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও এটি একটি আতঙ্ক সংবাদ। এদের প্রশ্রয়ে জাতি আজ আকন্ঠ ডুবে আছে গভীর তলানীতে। উপরন্তু এদের বলা হচ্ছে বুদ্ধিজীবি। এটি হচ্ছে জাতী ধ্বংসের ভূমিকম্পপূর্ব আগাম আলামত, মগজের ক্যান্সার। যেখানে একটি অসৎ সরকারের কাছে কোন সততা অবশিষ্ট নেই। মন্ত্রী এমপিদের সম্পদ বৃদ্ধির হার আকাশচুম্বী, ১০০ থেকে ৩০০ গুণে বিচরণ করছে। আলামতে প্রমাণ কোন মানুষের নয় বরং কিছু শয়তানের ইন্ধনে দেশ চলছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিগত নির্বাচনে কোন পর্যবেক্ষক পাঠাতে রাজী হয়নি, কারণ এ অসৎ সরকারের পর্যবেক্ষক পাঠানোর কোন যুক্তি তারা খুঁজে পায়নি। এতসব ঘটনায়ও টনক নড়ে নি ক্ষমতালোভীদের।

ওদিকে এরমাঝে চোখে মুখে বিস্ফোরণ তুলে বিদেশী কুটনৈতিকদেরকে বড়গলা বের করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলছেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবেন না’। চুরি চামারি করে করে দেশটির চৌদ্দটা বাজিয়ে বড়াই করছেন তিনি ‘আমরা এখন আর কারো কাছে হাত পাতি না’। চোর আর ভিক্ষুকের মাঝে পার্থক্য আছে, ভিক্ষুক হাত পাতে আর চোর পকেট কাটে। একদিনের প্রতিষ্ঠিত ভিক্ষুক যখন প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি ধরে তখন এমন কথাই তার মুখে বেশী মানানসই হয়। দুটি পেশাই আত্মমর্যাদাহীন অপকর্ম। একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতির মুখে এমন ভাষা শোভা পায়, একমাত্র সততার ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা পাওয়া একটি সরকার এমন দাপট দেখাতে পারে। কিন্তু মতিয়া চৌধুরীর মত অসৎ সরকারের মন্ত্রীর মুখে এমন কথা তার চোরের পরিচয় আরো সুস্পষ্ট করে তোলে। বর্তমান সংসদে মনুষ্যত্বহীন বিবেকহীন কিছু কপট ছাড়া প্রকৃত কোন মানুষ সংসদে আছেন বলে মনে হচ্ছে না। ইনু এরশাদ আর মতিয়ারা প্রতিটি মানুষই নীতিহীনতার দক্ষতায় এভাবে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছেন। এদের কথা শুনলে মনে হয় দেশটি বুঝি বুড়িগঙ্গার হাটুজলেই ডুবলো। অতীতে কেউ কেউ মনে করতো মতিয়ার মাঝে কোন মানবিক গুণ অবশিষ্ট থাকতে পারে, মনে হয় না এমন কিছু অবশিষ্ট আছে বলে। একটি হাড়ির একটি ভাত টিপলেই বুঝা যায় সবকটি ভাতের অবস্থান। জানা যায় টক শ থেকে মেনন ইনুদের আয় লাখ টাকা, সংবাদ যাযাদির। একাই ৪ শত ভোট দিলেন বাবুগঞ্জ উপজেলার ছাত্রলীগ সভাপতি। চোরির উপর বাটপারিতে একে একে সবাই অতিরিক্ত পারদশী। সম্প্রতি রাজশাহীতে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ককটেলে উড়ে গেল একটি শিশুর কবজি। সোনার দেশের সোনার ছেলেদের কার্যালয় বলে কথা। যুবলীগের সাথে মার আর দাঙ্গা অতপ্রেতোভাবে জড়িত ডাল আর ভাতের মত। তাই তাদের বড় চাকরিও দরকার, মারদাঙ্গায় জড়িয়ে থাকাতে সার্টিফিকেটে অর্জন করা কষ্টকর হতে পারে তাই দলদাস শিক্ষক থাকলে তিনি যে কি করবেন, উপরের খবর থেকে অবাধ অনাচারের সে সত্যকথন আমরা জানলাম। ভালো করে খোঁজ নিলে দেখা যাবে হয়তো ঐ শিক্ষকও এভাবে কোন এক ফাঁকে মুজিব বন্দনার বদৌলতে এসে ঢুকেছেন। তাই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড আজ আহত বিধ্বস্ত।

চল্লিশ পার করা দেশে একটি জিনিস প্রচন্ড নজর কাড়ে, বাংলাদেশ যতনা সামনে যাবার কথা ততই যেন পেছনে আটকা পড়ে জড়িয়ে যাচ্ছে শিকড়ের সাথে। কে বা কারা এটি খুব কৌশলে করে যাচ্ছে, জাতিকে বাঁদর নাচ নাচাচ্ছে। কারণ একটি ভৌতিক প্রেতাত্মা ও তার কুটিল জাল বিছিয়ে রোগের মতই গোটা জাতিকে আচ্ছন্ন করে আছে। স্বাধীনতা, স্বাধীনতা, স্বাধীনতা শুনতে শুনতে কানটা যেন ঝালাপালা হয়ে যাবারই জোগাড়। বছরের অর্ধেকটাই বাদর নাচানাচিতে চলে যায়। পৃথিবীর আর কোন দেশে মানুষ এভাবে পেছন হাটেনা। স্বাধীনতায় ৪২ বছর পরও আজ গুন্ডারা হামলে পড়েছে কৌশলে, মুভিতে নাটকে শুধু দেশে নয়, প্রতিবেশীর বিদেশ জোড়া অপপ্রচারেও। তখন মতিয়া চৌধুরীর মুখ দিয়ে একটি বাক্যও বের হয়না। শক্ত একটি কথাও মুখ দিয়ে বের হয়না। ভিখারীর আর চোরের আদলে মুখ নীচু করে থাকতেই দেখি। আজ প্রায় চারযুগ পরও দেশটি একাত্তরপূর্ব অবস্থানে সমান নয়, বরং বহুগুণ বেশী শংকার সময় পার করছে। আজ বাংলাদেশীরা অন্যের হাতে ভাতের কামড় খাচ্ছে, ঐ সব মাথামোটা নেতাদের অপরিনামদর্শী কাজের জন্য। পড়শিরা তাদের নিজেদের মত করে সাজিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশীদের কামড়গুলি, আর বুঝে না বুঝে তাই গোগ্রাসে গিলছে অবুঝ দেশবাসী। চল্লিশ পার করা সোমত্ত বাংলাদেশীদের জন্য এটি লজ্জার বিষয় সন্দেহ নেই। ঘরে ঘরে গিন্নীরা পাগলের মত গিলছেন হিন্দী ফিল্মের কলাকৌশল, যেন মজে অর্ধেক ভুত হয়ে গেছেন। কারণটি কি? অনেকের অনেক চিঠিপত্রও পাই এর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে, এমনও জানি অনেক সংসার ভেসে যাচ্ছে হিন্দী ফিল্মের নষ্ট জোয়ারে, উথাল পাথাল প্রেমের নষ্ট নদীতে তারা হাবুডুবু খাচ্ছে। কারণটি অনুসন্ধান জরুরী। এর প্রধান কারণটি হচ্ছে এরা এদের প্রকৃত শিকড় পরিচিতি এর মাঝে বলতে গেলে হারিয়ে ফেলেছে। হলির বর্ণিল রঙ্গে মেতে ওঠে চারুকলার শিক্ষার্থীরা। মনে পড়ে প্রায় দেড়যুগ আগে প্রথম যখন এসব আমদানী হয় তখন আমরা ঐ একই পাড়ার বাসিন্দা ছিলাম। ভয়ে আর আতঙ্কে শিক্ষকরা পর্যন্ত আকস্মিক দুর্ঘটনার শিকার হতেও শুনেছি। রঙ্গের এ উশৃংখল মহামলোতে প্রথম বারের মত চমকে উঠেছিল ঐ অঞ্চলের মানুষ। মনে পড়ে অভিযোগ উঠেছিল কিছু শিক্ষককেও রংমাখা সংএর ক্লাউন বানানো হয়েছিল। অনাচার উশৃংখলতা কোন উত্তম আচার নয়। সংস্কৃতির নামে যতই উশৃংখলাতে দেশ যতই ডুবে যাবে ততই তার মানবিক ধ্বংস ত্বরান্বিত হবে। মাদকে আসক্তি তার বড়এক পাওনা পড়শির উদার হাতের দান। গিলে গিলে ধন্য বাছাধনেরা। একটি ক্ষমতান্ধ অসৎ সরকার দেশ চালাচ্ছে এমন তালে, অনাচার করাই যেন ঐ দেশের কালচারে পরিণত হয়েছে। একজন অনাচারী প্রধানমন্ত্রী ইন্ধনে আছেন যাকে আদালত রং হেডেড আখ্যায় আখ্যায়িত করে, এটি জাতির ভুলে যাবার কথা নয়।

“চোরাই গাড়ীসহ আটক সাংসদপুত্র: ছাড়াও পেয়ে যান। সাংসদপুত্রকে ছেড়ে দিয়ে তার বন্ধু রাসেলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে” (১৩-১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, সাপ্তাহিক সুরমা)। এ ধারা হচ্ছে বর্তমান সরকারের প্রশাসনের বিচারিক ক্ষমতা। এটি শত উদাহরণের মাঝে থেকে নেয়া একটি। এরকম শত শত খবর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পত্রিকার পাতা থেকেও বেশী মানুষের হৃদয়ে। কারণ মিডিয়াকে এসব চেপে রাখতেই নানান কৌশলে বাধ্য করা হচ্ছে। শত অনাচারেও সরকারকে বা তার দলবলকে কারাগার মাড়াতে হয়না। দৈবাৎ মাড়ালেও ছাড়ানোই নিয়ম। সরকার চায় সে ছাড়া আর তার দল ছাড়া আর কেউ ঐ দেশে থাকবে না, কেউ ভিন্ন রাজনীতি করবে না। করলে তাদের কারাগারে ঢোকানো হবে। নিজেদের সোল ডিলারশিপ টিকিয়ে রাখতে সকল সততার কবর রচনা করে মিথ্যে নির্বাচনের ভেলাতে চড়ে মসনদে আসীন হয়েছে তারা। এককালের মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীও আজ নস্যি, এবার ঋণ খেলাপী, তিনি জোর গলাতে প্রতিবাদ করে বলেছেন এদেরে কখনোই ভোট দেবেন না, এরা ভোট চোর। সরকারের বড়ই গায়ে লেগেছে। তাই তিনি নির্বাচনে কৌশলে ভোটে অযোগ্য বিবেচিত হন। ওদিকে অনেক তথ্যে পাওয়া বোতল খাওয়া জয় রংপুরের সর্দার সেজে নেচে কুদে বেড়াচ্ছেন। বড়াই করছেন তার মহামতি মা জাতিকে এক অসাধারণ নির্বাচন উপহার দিয়েছেন। আমরা দেখছি তা দেখে অবাক বিস্ময়ে গোটা বিশ্বই হতবাক হয়ে আছে। বাস্তব অবস্থানটি হচ্ছে প্রতিটি আওয়ামী নেতা নেত্রীরা অনাচারের সোল এজেন্সী নিয়েছেন। সেখানে স্পিকার থেকে রাষ্ট্রপতি একই রেসের ঘোড়াতে সওয়ার হয়েছেন। জাতির সংকটে রাষ্ট্রপতি এগিয়ে আসেননি, অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তবে আজকাল এখানে ওখানে তাকে দেখছি মনে হচ্ছে তারও কিছু কাজ আছে। হাত পা কেটে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন পারিবারিক গদি দখলের সহকারী সদস্য শেখ সেলিম। সরকার তার ও তার আসামীদের মামলাকে তফাতে রেখে পিলখানার ধ্বংসযজ্ঞকে পর্যন্ত দাবড়িয়ে রেখেছে।

ওদিকে জাতিকে প্রধানমন্ত্রীর রাজাকার বেয়াইএর নিরুত্তাপ ভোট জালিয়াতি গেলানোর চেষ্টাতেই এগুচ্ছে বর্তমান সরকার। স্বসার্থে রাজাকারেরও ছাড়, নইলে রক্ষা নেই মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীসহ প্রতিটি প্রতিবাদী জনতাই আজ সরকারের শত্রুতে পর্যবসিত হয়েছে। সে হিসাবে গোটা জাতিই আজ প্রতিবাদমুখর আর সরকার দাঙ্গাবাজ জঙ্গির ভূমিকা রাখছে। স্বাধীনতার শুরু থেকেই তার পরিবার ও তার নিকটসদস্যরা লুটতরাজ, মারদাঙ্গা, হত্যা গুম খুনে জড়িত। এদের থেকে শত হাত দূরে হামলা মামলা থাকলেও প্রতিটি প্রতিবাদীর গলাতে আজ কারাগারের রজ্জু লাগানো। এটিই অসৎ রাজনীতির ২০১৪ এর সরকারী ভূমিকা। গোটা জাতি আজ হুমকির মুখে। ভোটে অনিয়ম, সংঘাত এর মূলে ইসির ভুমিকা ধারণাতীত বড়সড়, সরকার আর ইসির ব্যর্থতায় নির্বাচন আজ প্রতারণায় পর্যবসিত হয়েছে। এটি সবাই জানে ইসি এক কেনা গোলাম। এভাবে কেনা গোলামেরা প্রতিটি সিট দখল করে সমগ্র জাতিকে দাসত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একবার নয়, বারে বারে গ্রেফতার করা হচ্ছে বিরোধী নেতাদেরে। এর একমাত্র কারণ এরা সরকারের অপকর্ম নিয়ে নড়েচড়ে যা বর্তমান অমানবিক সরকারের পছন্দ নয়। যুক্তরাষ্ট্রকে কাছে টানতে আল-কায়দা ট্রামকার্ড তৈরী করে সরকার যে আত্মঘাতি ষড়যন্ত্রে নেমেছে তার প্রতিবাদ একমাত্র এরাই করে। এতে সরকার বারে বারে বাড়তি বেকায়দায় পড়ে যায়। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মির্জা আব্বাস ও এরকম আরো অনেককে কারাগারে নেয়া হচ্ছে এসব দমন করতে, কৌশলে বলা হচ্ছে তারা নিজ হাতে আগুন দিয়েছেন। সমগ্র জাতি জানেন এদের সাথে এমন আচরণ কেন করা হচ্ছে কারণ সরকার গদিটা লম্বা সময়ের জন্য তার দখলে রাখতে চাচ্ছে। সারাদেশে সরকার ভোট কারচুপি ও সন্ত্রাসের নামে মহাউৎসব চালিয়েছে। এ হচ্ছে সরকার ও তার রং হেডেড বিচারবোধ ক্ষমতা! অভিযোগ উঠেছে যশোহরে ভোট ডাকাতির জন্য চরমপন্থীদের জড়ো করা হয়েছে।

একটি উজ্জ্বল উদাহরণ সবার চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। সমাজের একটি সচেতন বিবেককে কেন ছলবাজ সরকার বেধে রেখেছে? কেন আজ মাহমুদুর রহমান জেলে কারণ এ সৎ ব্যক্তিটি সরকারের পরিজনসহ অনেক অপকর্মের গোপন পাট খুলে পাঠকের সামনে তুলে ধরেন। সম্পাদক হিসাবে তিনি তার কর্তব্যকর্মটি সুচারুভাবে করেছেন যার জন্য তার পুরস্কৃত হবার কথা। মানুষকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন, তাই তিনি জেলে। ইতমধ্যে কৃত সরকারের হাজার হাজার অপকর্ম ঢাকতে খুব কৌশলে এটি করা হয়েছে। হককথার বাহক পত্রিকা “আমারদেশ” বন্ধ রেখে সরকার প্রমাণ করেছে তারা আগাগোড়া কত বড় অনাচারি। এই একটি উদাহরণই যথেষ্ট একটি নীতিহীন সরকারের শ্রেষ্ঠ অপকর্ম হিসাবে। সাগর রুণির মত জোড়া দম্পতির হত্যার পরও অতি সম্প্রতি সঠিক সংবাদ প্রকাশ করায় আর এক সাংবাদিক সাগরকে থানার ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়। বুঝেন এটি সরকার নামের এক অপশক্তি গোটা দেশের উপর রাহুর মতই চেপে বসেছে। কুকুর পাগল হলে বৃহত্তর স্বার্থে তাকে মেরে মানুষকে মুক্ত রাখা হয়। নয়তো ঐ পাগলা কুকুরের কামড়ে জীবনের সংকট জলাতংক রোগ বিপদ হয়ে দেখা দেয়। ২০১৪এর বাংলাদেশের জনতাদের মুক্তির জন্য কি প্রেসক্রিপশন দরকার সেটি প্রতিটি সচেতনকে শক্ত করেই ভাবতে হবে, এবং শক্ত করেই এ অপশক্তির হাত থেকে বাঁচার পদক্ষেপ নিতে জাতিকে একতাবদ্ধ হতে হবে। গুটি কয় পগলা কুকুরের হুমকির মুখে গোটা জাতি আজ কঠিন সময় পার করছে। মনে হচ্ছে সরকার তার মানবিক সব অবয়ব পরিত্যাগ করেছে। ভয়ানক পশুর পোশাকে আবৃত হয়ে পড়েছে। হুঙ্কার ছাড়ছে ও দলবল নিয়ে সেই তালে অদ্ভুত আকৃতি ধারণ করে আছে। এত চুরির পরও তার ও তার মন্ত্রীদের সিনাজুরি কমেনি, বরং বেড়েছে। সবযুগে এটিই ডাকাতের প্রকৃত স্বরুপ। তার অসততার নমুনা হচ্ছে দরকার হলে আমরা জামায়াতের সাথে থাকবো কিন্তু বিএনপির জামায়াতের সাথে থাকা চলবে না, এটি ছলবাজদের শর্ত। তারা তাদের চোরদের পকেট ভরার জন্য যে বিদ্যুতের কুইক লোপাটের ব্যবস্থা করেছিল তার পুরোটাই গিলতে চায়, দলবাজরা উদর পূর্তি করতে গিলেছে ও গিলবে তবে খেসারত পুরোটাই গুণতে হবে জনগণকে। দাম বাড়ালে চিৎকার দেয়া চলবে না। এরকম আগাম অজস্র হুমকি ও শর্ত প্রধানের বেধে দেয়া। তাদের মন্ত্রীরা বলছেন মানুষ দু চারটা মরতেই পারে, এটি খুব সহজ বাস্তবতা তাদের কাছে। সেদিন শুনলাম৭১ টিভিতে এক বক্তা বলছেন পুলিশ ফাঁকাগুলি ছুড়েছিল ওতে একজন মারা গিয়েছে। আমরা বিস্ময়ে বক্তার কথাটি শুনছিলাম বাংলাদেশের ফাঁকাগুলিতেও মানুষ বাঁচতে পারে না, মরে যায়। সরকারের ক্ষমতা এত উচ্চ পর্যায় পার করছে যেখানে পুলিশও সরকারী ক্যাডারের মত কাজ করছে।

খবরে প্রকাশ ভারতে বই ছাপিয়ে সরকারের ক্ষতি ৬০ কোটি টাকা। ওদিক বাংলাদেশে ঘাপটি মেরে আছে ১২ লাখ ভারতীয়। মতিয়া চৌধুরীরা আপাদমস্তক বিদেশের নতজানু পলিসির শিকার হয়ে দিনগুজরান করছেন। এর উদাহরণ দেখুন। “বিশ্বকাপ উদ্বোধন: নিজদেশের শিল্পীরা অবহেলার শিকার” কারণ বিদেশীর কাছে শির বিক্রি করে দেয়া ভিখারীর দশা মতিয়া ও তার নেত্রীর এ কুদশা করে ঘুচবে জানিনা। মতিয়াদের অতি ভারত প্রেমে জাতী অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গর বিদেশি জাহাজ থেকে ৪০ লাখ টাকার হুইস্কি ও বিয়ার উদ্ধার। তানোরে তাফসিরুল কুরআন মহফিল বন্ধ করলো আওয়ামী লীগ নেতারা, প্রধান বক্তা লাঞ্ছিত। তাদের দৃষ্টিতে এটি একটি উপযুক্ত কাজ করেছে সরকারের দলনেতারা। কারণ এ দেশে হুইস্কি বিয়ার মদ গাজার ব্যবসাকেই প্রাধান্য দিতে হবে কুরআনকে নয়। এ দুটির সহঅবস্থান একসাথে হয়না। একটি থাকলে আর একটিকে বাতিল করতে হয়। সরকারের পছন্দ প্রথমটি তাই দ্বিতীয়টিকে বাতিল করতেই তাদের দলদাসরা ব্যস্ত। কলামটি লেখার সময় ১৭ই মার্চ ২০১৪ সাল।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এ লেখার শুরুতে এ বছরের মার্চে আওয়ামী চাকরী প্রাপ্তির প্রস্তাব এসেছিল একজন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকের মুখ থেকে। এবার উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে বছরের শেষে ডিসেম্বরেও ২০১৪ সাল এইচ টি ইমামের একই ধারার বক্তব্য দেশে তোলপাড় চলছে। বিসিএস পরীক্ষাতে শুধু থিওরী পাশ করলেই চলবে, বাকীটা তারাই সামলাবেন। অতীতেও সব সময় সব চাকরীতে নেত্রী খুঁজেন সে আওয়ামী লীগ করে তো? এটিই বাংলাদেশের চাকরীর প্রধান যোগ্যতা। তাই দেশ অতল গহ্বরের দিকেই ধাবিত হচ্ছে।

(লেখাটি আমার দেশ ছাপে ২০১৪ সালের মার্চের ২০ তারিখে। লেখাটি আমার দেশ ছাপে ২০১৪ সালের মার্চের ২০ তারিখে)

Tag Cloud

%d bloggers like this: