নাজমা মোস্তফা
প্রায় ৪৯/৫০ বছর আগে যখন লাল ঘোড়া দাবড়িয়ে মানুষ হত্যা করার নামে ক্রস ফয়ারের শুরুটা সিরাজ সিকদার দিয়ে শুরু হলো অতপর রক্ষী বাহিনী ও হাজার হাজার লাশের গোপন কান্না কি প্রাকস্বাধীনতার ভালবাসার গান দিয়ে ঢাকা যাবে? প্রাক স্বাধীনতার সোরগোলে আমরাও ছিলাম। আজকে বিদগ্ধ জনরা তাদের মেকী ভালোবাসার কান্না দিয়ে কি এসব দগদগে ঘাঁ এর ক্ষত মেটাতে পারবেন? প্রশ্নটি বাংলাদেশের সচেতন মানব সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন রেখে অনেক দিন পর কলামটি লিখছি। একের পর এক মারদাঙ্গা সারাদেশে লেগে আছে, কারণ সরকার অবৈধ, আচার সেখানে বৈধতা পায় না। প্রতিটি বিতর্কীত প্রশ্নবিদ্ধ মৃত্যুকে জায়েজ করতে চান হাসিনা তার বাপের পরিবারের মৃত্যু দিয়ে। বারে বারে আসামী ধরে ধরে বাপের বিচার করেও তার সাধ মেটে নি। তিনি কখনোই তার বাপের ভাইএর অপরাধ গুনেন না। ধরে নেন এরা মহাপুরুষ। তিনি কি জানেন তার ভাইদের ‘কামালনামা’ আজও ইন্টারেনেটে রাজত্ব করছে, দম ছাড়ছে পূর্ব থেকে পশ্চিম মাতিয়ে বেড়াচ্ছে। তার ভাইদের যুগে বাপের দুর্দন্ড প্রতাপ আছর করে গুণধর ভাই কামালের উপর, তার দাপটে নারীরা দুর্বলরা নীরিহরা নির্যাতীত হন। যার খেসারত আজ অবদি দেশে ঐসব প্রেতাত্মারা ঘুরছে দাপট দেখাচ্ছে, ময়দানের ঐসব অপকর্ম রাজভোগ হয়ে আছে। সেদিন যদি শেখ মুজিব তার দুর্বৃত্ত ছেলেদের কঠিন ভাবে রাশ ধরে টান দিতেন। সারা জাতি তাকে মাথায় তুলে রাখতো। বিশ^বিদ্যালয় পাড়া তখন থেকে তাদের কপট রাজত্বে থরথর করে কেঁপেছে। যার জন্য তাদের মৃত্যুতে দেশের মানুষ কাঁদে নাই। উল্টো খুশী হয়ে দম ছেড়েছে ‘ফেরাউন নিপাত গেল’। অপকর্মে নির্যাতনে আজকের মতই মানুষ ৫০ পূর্ব দেশের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। আজও যদি ৭৫এর পালাবদল হয় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে, এটি আওয়ামী দলবলসহ সবাই জানে। মুজিবকে হত্যা করা হবে এটি মানুষ স্বপ্নেও ভাবে নাই। কল্পনায়ও দেখে নাই। যে ঘটনা সচরাচর তেমন শোনা যায় না। খুবই সুক্ষ্মদর্শী ছাড়া এটি অনেকের প্রায় অজানা, এসব জটিল সত্যকে সাধারণের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। একটু মন দিয়ে শুনুন, অনেক তথ্য এটি স্পষ্ট করে, সেদিন মেজর ডালিমরা শেখ মুজিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে যায়নি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল তাকে বন্দী করে জবাবদিহিতার মুখোমুখি দাঁড় করানো। আপনারা বলবেন তাহলে মাজেদরা কেন বললেনা না। যারা দাপটিদের হাতে বন্দী সেখানে মৃত্যু মুখেও কি সত্য বলার সুযোগ ছিল? এসবই বিবেকের জমা। এখানে বিচারে তাই বলা যাবে, যা বলাতে চায় সরকার। কিন্তু সত্য হচ্ছে সেদিন শেখ মুজিব দর্পের উপর, আছর করা কামাল জামালরা চৌকশ অস্ত্র পরিদর্শণে দক্ষতায় ময়দান কাঁপানো অসংখ্য অঘটন ঘটন পটিয়সী ছিলেন। তাদের হাতের কাছেই ছিল অস্ত্রের ভান্ডার। যার বিরুদ্ধে তাদের পরিবার কোন প্রতিরোধ গড়ে নি। কেন তাদের পরিবার সন্তানদের এমন আশকারা দিল, তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া হয় আর শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে মিথ্যাচার করেন তার ভাইদের নামে। মিথ্যা কথা তাদের মুখে কখনোই আটকায় না। তারা ধরে নিয়েছে তারা দেশের জমিদারের সন্তান, তাই সবই তাদের কাছে ছেলের হাতের মোয়া। মুজিবের সন্তানেরাই প্রথমে ঐ দাপটের বন্যায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গুলি ছোড়ে। যার প্রেক্ষিতে মেজর ডালিমরাও অস্ত্র হাতে নিজের মেজাজ সামাল দিতে অপারগ হয়। এসব তখন ধারেকাছের বেঁচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা থেকেও স্পষ্ট হয়েছে। ঘাটেন, ঐ সত্য সবদিন ছিল আছে, শুরু থেকেই মানুষ এটি জেনেছে, যারা এর সন্ধান করেছে। “অতি বাড় বেড়ো না ঝড়ে পড়ে যাবে, অতি ছোট হয়ো না ছাগলে মোড়াবে”। যখন কামালরা অতি বাড় বাড়লো তখন ডালিমরা ভাবলো আমাদের কেন ছাগলে মোড়াবে। ঠিক তখনই তারা সিদ্ধান্ত নিল এদের একজনকেও ছাড় দেয়া হবে না। তাই শিশু রাসেলও হয় তাদের অস্ত্রবাজ ভাইদের অপকর্মের ধারাবাহিক শিকার। এটি জাতির প্রতিটি সদস্যের জানা দরকার। তাই বিদগ্ধ জনকে বলতে শুনেছি এদের হত্যা করা হয়নি, এরা আত্মহত্যা করেছে। কামালের জন্য মায়াকান্না আর রাসেলের জন্য কুম্ভিরাশ্রু ফেলার আগে তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে সবার সামনে তুলে ধরা জরুরী। এসব মৃত্যুর দায় তাদের নিজেদের।
লক্ষ্য করার মত বিষয়, সিনহার মাকে স্বান্তনা কল করে শেখ হাসিনা তার নিজ পরিবারের হত্যাকে ত্বড়িতে নিয়ে আসতে ভুলেন না। সে হিসাবে তিনি ঐ হত্যা দিয়ে একে জায়েজ করার একটি অপচেষ্টা করেন। আমিও আপনার মত, বলার মানে এত কি সহজ? সিনহা কারো উপর অন্যায় খবরদারী করেছে বলে জানা যায় নাই। কারো উপর লাল ঘোড়া দাবড়ায় নাই। বরং জানা যাচ্ছে ঐ লাল ঘোড়ার দাবড়ানির জেরে তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে কি না সে শংকা সচেতন দেশবাসীরা করছে। গোটাদেশ আজ নন্দলাল প্রদীপদের দখলে। ঠিক যেভাবে মিরজাফর ছিল ময়দানের দৃশ্যতঃ নিমকহারাম। বাকী জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ, উমিচাঁদি, রায়বল্লভরা পিছন থেকে তলানী ঝাঝরা করার মহরত চালালেও হাদা মিরজাফর ছিল পালের গোদা। বাকীদের সব অপকর্ম কাঁধে নিয়ে আজীবন গালির বোঝা কাঁধে নিয়ে তার পরিজন আজো অপরাধী হয়ে ঐ লজ্জায় বিবর্ণ জীবন কাটাচ্ছে। প্রদীপ কুমার দাসরা শত অপরাধেও ধরা পড়ে না, বরং বাড়তি পদক পায়। জানা যায় প্রদীপ বিএনপির যুগে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ঘুপটি মেরে বসে ছিল, সুযোগের অপেক্ষায়। অতপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে উনি চারাগাছ থেকে মহিরুহ হয়ে উঠেন উপযুক্ত পরিচর্যা পেয়ে। মুসলিম মেজরিটি দেশে হিন্দু হয়েও নিয়োগ পান বিএনপির যুগে। এটিও প্রমাণ করে হিন্দুরা কোন যুগেই অবহেলিত নন, তারা চাকরি পায়, যা ভারতের জন্য মুসলিমদের চাকরি স্বপ্ন। বরং সাম্প্রতিক আচরণগত বৈশিষ্ট্য বলে এরা বেশীরভাগ ভিন দেশের দালাল, সময় সুযোগ পেলে কলিজাতে কামড় বসায়। বাংলাদেশে মুসলিমরাও বসান, তবে সংখ্যালঘু বলে কোন সময়ই ভীত নন, বরং কামড়ে বর্তমান সময়ে তারা অতিরিক্ত সরব, অতিরিক্ত যামাই আদর ও পরিচর্যাপ্রাপ্ত এরা। গরীব সাধারণ জনতা যারা প্রত্যক্ষদর্শীরা সাক্ষ্য দিচ্ছেন, যা তারা দেখেছেন তাই বলেছেন। এর পর থেকে তারা হুমকি ধমকির শিকারও হচ্ছেন। প্রদীপরা হত্যার পরও যামাই আদর পায়, কারাগারেও তাদের জন্য থাকে ভিন ব্যবস্থা। বরং তার দালালগং কর্তৃক অসহায় জনতারা হুমকির শিকার হচ্ছে। মানুষ নিধনে দক্ষ এ প্রদীপ সেজদারত এক মুসল্লী / ইমাম হত্যা করেও মহান থাকে, পদোন্নতি পায়। এর বড় কারণ সেজদারত ব্যক্তি যদি বিএনপি বা জামায়াতের মানুষ হয় তবে সরকারের জন্যও খুশীর সংবাদ। তখনই সরকার বুঝে প্রদীপরা সরকারের উন্নয়নের স্বপক্ষে কাজ করছে। সহজভাবে বলা যায় ভারতের স্বপক্ষে কাজ করছে। ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে ৩৬/৩৭ বছরের মেজর গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষীর ভাষ্যে বাহারছড়ার ওসি লিয়াকত হোসেন চারটি গুলি করে, তার সাথে কোন কথা না বলেই। লিয়াকত হোসেনের এটি প্রথম ক্রসফায়ার নয়, জানা যায় এটি ১৬৭তম। সাধু সজ্জনরাই এদের শিকার। মাদক নির্মূৃলের নামে এদের মাদক ধরিয়ে দিয়ে অপরাধী বানিয়ে ক্রস ফায়ার দেয়। সম্ভবত এটি শুধু প্রদীপের এজেন্ডা নয়, এটি অবৈধ পথে আসা সরকারের প্রতিটি অতীত এজেন্ডার সাথে খাপে খাপে মিলে।
প্রশিক্ষিত সুশিক্ষিত রাওয়া ক্লাবের সদস্য সিনহা নিজেও। এর পার্টনাররাই এখন তাকে বাঁচাতে নাটক করে বেড়াচ্ছে সারা দেশে। অন্য আসামীর মত তড়িঘড়ি প্রদীপকে রিমান্ড দেয়া হয় নাই। কারণ মানুষ এসব নিয়ে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে। ৯৬ সালে ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে প্রদীপ চাকরি পায়। অতপর সুযোগমত ১৭টি পরিবারকে নির্যাতন করে ভারতে পাঠায়। স্মরণ করার বিষয় হচ্ছে সচরাচর এসব ঘটনা বাংলাদেশে যদিও কম হয়, তারপরও যদি হয় এসব অপরাধ হয় আওয়ামী সরকারের সময়ে এবং দোষ চাপানো হয় বিএনপি জামাতের উপর। এটি তাদের আর একটি অপকৌশল, সাম্প্রতিক সময়ের প্রিয়া সাহা তার এক উত্তম উদাহরণ। তিনি ডনাল্ড ট্রাম্পএর কাছে আবদার রেখেছেন মৌলবাদী মুসলিমরা তাদেরকে দেশে থাকতে দিচ্ছে না। এটিও মিডিয়াতে স্পষ্ট হয়েছে ইউটিউবের বদৌলতে যে তার এক ভাঙ্গা ছাপড়া ঘরে আগুন দিয়ে তিনি মুসলিমদের অপরাধী সাজান। যার প্রমাণ তার প্রতিবেশী হিন্দুরা বলেও দিয়েছে তার নিজের সাজানো আগুন কিভাবে নীরিহ মানুষ হয়রানির অপকৌশল মাত্র। সরকারও তড়িঘড়ি হাজিরা তহবিল নিয়ে সাধুতার ভানে লেগে যায়, মুসলিম নিধনে সোচ্চার আর তাদের সুরক্ষায় সচেষ্ট। শুরু হয় প্রতিপক্ষের প্রতি বিষোদগার, এর নাম বাংলাদেশ। খারাপ সবার জন্যই খারাপ, বোনের সম্পত্তি কেড়ে নেয়াতেও প্রদীপ ওস্তাদ, বৌ নির্যাতনেও দক্ষ, এক পুলিশ তার স্ত্রীকে সহযোগিতা দিলে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। তার কথা, “— (?) অমুক এ্যামবেসির পেছনের দরজা বন্ধের দিনও তার জন্য খোলা থাকে”। জানা যায় তার সম্পত্তির পরিমাণ ৩,০০০ কোটি টাকা। অযোগ্যরা যখন দেশ চালায় তখন এসব ঘটনা, অযোগ্যতাই বড় যোগ্যতা। তার এতই শক্তি যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। সে সিনিয়র লেভেল থেকে শত অপকর্মেও আশ^াস পায়। যে দেশের এ্যামবেসি তার জন্য খোলা থাকে, ধারণা হয় তার পাসপোর্ট থাকবে এটি বিশ^সযোগ্য কথা। পাঠক, চিন্তা করুন আর সত্যকে স্পষ্ট করুন।
(১) প্রধানমন্ত্রী এ যাবৎ অনেক হত্যাকান্ডেই আশ^াস দিয়েছেন, যদিও এসব কথার কথা। যে অপকর্ম ঘটায় তার আশ^াস কি কার্যকর হয়?
(২) সাগর রুণি, মেঘ/ ইলিয়াস আলী / চৌধুরী আলম / তনু/ আবরার/ সিনহা। একই ধারার বলির পাঠা, সরকারের আশ^াসভরা অপকর্ম ।
(৩) ইলিয়াস কোবরা আর এক অভিনেতাকে টেনে আনা হয়েছে। ইলিয়াস কোবরা, তার বাগানবাড়ি, ছয়বার এসএমএস, তারপরও সরকারই প্রশ্নবিদ্ধ?
(৪) বাংলাদেশ প্রতিদিন সরকার পন্থী একটি পত্রিকা ও তার প্রতিবেদন ঐ কোবরা নাটকের অবতারণ, প্রবল প্রতিবাদী কোবরা।
(৫) স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ যারা গড়তে অবদান রেখেছেন তারাও হচ্ছেন ওখানের লাশ। শেষ উদাহরণ রাশেদ খান সিনহা।
(৬) সর্বোচ্চ পদকসহ (২০১৯ সালে) ৬টি পদক লাভ করেন প্রদীপ কুমার। স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভে ২০৪ লাশ।
(৭) লাশ হবার আগে ১০/১২ দিন রাখা হতো থানা হাজতে।
(৮) প্রদীপ গায়েবী হামলা, ও অগ্নিসংযোগের হুমকি দিতেন। প্রশাসন শুনেও না শোনার ভান করে থাকতো নীরব।
(৯) জনতার স্ত্রীদের অভিযোগ নির্দোষ স্বামীদের ঘর থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হতো।
(১০) সেদিন মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয় ডাকাত দল আসছে। সিনহাকে এভাবে ডাকাত সাজানো হয়।
(১১) প্রদীপ দশ বছরে ভয়ানক দানব, উন্নয়নের মহাসড়ক বাহারছড়ার পোস্টে নিয়োগ ।
(১২) নির্যাতীতদের মামলার আসামীদের সাথে চাঁদাবাজির ব্যবসা তার। থাকেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
(১৩) রাষ্ট্রীয় মদদে এরা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এসব বাংলাদেশের উন্নয়নের রোজনামচা, দরিদ্র প্রদীপ আজ ধনাঢ্য কুমীর।
(১৪) ধুমপান না করা একজন সিনহা মৃত্যুর আগে মাদকসেবী ইয়াবাখোর হিসাবে প্রদীপের আসামী।
(১৫) প্রথমে ওরা অভিযোগ তোলে সিনহা অস্ত্র তাক করে তাদের গুলি করেন, পরে বলে ইয়াবা পাওয়া গেছে।
(১৬) একজন এসপি ফোনে দুর্বৃত্তকে শিখিয়ে দেন কিভাবে কি বলতে হবে। কম্পিউটারের সব তথ্য সরানো হলো, কেন?
(১৭) বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিকের নিউজ অল্প সময়ে বদলে যায় (১০ আগষ্ট ২০২০)। প্রথমটি বদলে অন্যটি।
(১৮) নাটকের পর নাটক সাজছে। শুরু হয়েছে সংবিধান থেকে ইসলাম মুছে দেবার নাটক।
(১৯) অপকর্ম ঢাকার এসব কৌশল নীতি, নতুন অপকর্ম এনে পুরোনোটা ঢেকে রাখা।
(২০) তাই সিনহাকে মুছার পরও তারচেয়ে বড় ‘ইসলাম’ আজ ময়দানে মুছার অপেক্ষায়।
(২১) সরকারের শক্তির তলানীতে এসব হচ্ছে না, বলার কি কোন ফুসরত আছে?
(২২) ৩১ জুলাই ২০২০ একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সিনহাকে হত্যা করা হয়। এর মাত্র চারদিন আগে ২৬ জুলাই তারিখে সিনহা তার বড়বোনকে গভীর কিছু সত্য প্রকাশ করেন। যা একমাত্র বাংলা নিউজ ৭১ ইউটিউব চ্যানেল প্রচার করেছে, অনেকেই এর মোড় ভিন্ন খাতে নিতে কোবরা, শিপ্রা, সিফাত, ইয়াবা, প্রচার করছেন। যে কঠিন সত্য বের হয়ে পড়েছে ঐ ইউটিউব চ্যানেলে সেটি শত ইলিয়াস কোবরার নাটক থেকেও মূল্যবান। সিনহার জন্মদিনে তিনি তার বড়বোনের কাছে প্রকাশ করেন, যা অতীতে তিনি কখনোই বলেন নাই। চাকরী থেকে অবসর নেয়ার যা খবর এতদিন থেকে প্রচারিত ছিল, ওটি ছিল মিথ্যা, তাকে সম্ভবত চাকরী থেকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়। এবং তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর দায়িত্বে নিয়োজিত একজন কর্মকর্তা। গত দেড় বছর থেকে তিনি এ ব্যাপারে মুখ খুলেন নি। এখন এসব রিপোর্ট গোয়েন্দাদের হাতে, তাদের ফোনকল লিস্ট থেকে এসব ঘটনা জানা গেছে। সেই সুবাদে তিনি এই মেধাবী মানুষটি অনেক খবর জানতেন বলেই ঐ জানাটাই তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে তিনি শংকা প্রকাশ করেন তার বোনের কাছে। এটি প্রকাশের পঞ্চম দিনেই তাকে হত্যা করা হয়। এ জন্যই প্রদীপকে সমানেই বলতে শোনা গেছে আমার কিছুই হবে না। কারণ সে সব ধরণের নিরাপত্তায় আশ^াস প্রাপ্ত। মূল আসামী প্রদীপ নয়, প্রদীপ হচ্ছে হুকুমের আসামী। মূল আসামীকে ধরে বাক্কারাহ সুরার ৪২ আয়াতটিকে প্রতিষ্ঠা করেন। এসব সত্য মদীনার সনদে সবদিন পালিত হয়েছে। বাংলা নিউজ একাত্তর যা ইতমধ্যে প্রকাশ করেছে, তার সঠিক মূল্যায়ন করেন।
(২৩) কম্পিউটারের সব তথ্য যারা সরিয়েছে একই উদ্দেশ্যে সাগর রুণি সাংবাদিকদের তথ্য সরিয়ে তাদের খুন করা হয় ঠিক সিরাজ সিকদারের মতই। ৪৮ ঘন্টার মুচলেকা দেয়া সরকার যা লুকাতে চেয়েছে, তাই আজ অবদি লুকিয়ে রেখেছে। বিডিআর হত্যা করে যে সব তদন্তকে চাপা দিয়ে রাখতে চেয়েছে, তাই আজ অবদি করতে পেরেছে। সর্বশেষ সিনহা মরার পর তারা বলছে আর ক্রসফায়ার হবে না। এটাই শেষ; তার মানে তারা স্বীকার করছে আগের সব মৃত্যু তারা তাদের মদদে ঘটিয়েছে। সিরাজ সিকদারের মৃত্যু থেকে শুরু থেকে শেষ সব দায় তারা তাদের কাঁধে বহন করে নিয়েছে বলাটা দোষের হবে না। সর্বপরি সিনহা মৃত্যুর চার দিন আগে প্রকট সত্যটি বলে গেছেন।
(২৪) অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করলেও তার ক্ষমতা দেখাতে, সাম্প্রতিক চুক্তিতে ভারতীয় পন্য বাংলাদেশের আগে অগ্রাধিকার পাবে সেটি গত দুই বছর আগেই করা হয়েছে, কিন্তু দেশবাসীর জানা ছিল না। মুজিবের কন্যা সব সময় বলতেন আমার উপর ভরসা রাখবেন। আমি দেশ বিরোধী কিছু করবো না। সবচেয়ে বড় কথা তিনি দেশের বিপক্ষে কাজ করেন। সব কাজই প্রতিবেশীর স্বার্থে দেশ বিক্রির পক্ষের উদাহরণ হয়ে থাকে। উল্টাপাল্টা বলতে বলা তাদের নীতির অংশ, যেন তারা সত্য কথা বলতেই ভুলে গেছে।
(২৫) সবশেষ নাটক কোবরা থেকে সরে এসে সংবিধান থেকে ইসলাম মুছে দেয়ার নাটক। সবাই সোচ্চার হোন, ৯৫% মুসলিম দেশে কেন মুজিবকে ছাড়িয়ে ইন্দিরা বন্দনার নীতি? সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষ কথাটি সরান। এটি ইন্দিরা গান্ধীর এজেন্ডা ছিল, মুজিবের নয়। মুজিবের ছয় দফাতে এসব বিন্দু বিসর্গও ছিল না। ভারত তার দেশে স্থাপনের আগে ১৯৭২ সালে এটি বাংলাদেশের সংবিধানে সংযোজন ঘটায়। পরে তাদের সংবিধানে সংযোজিত হয়, বাংলাদেশের পর। ভারত সংখ্যালঘু মুসলিম নিধনে জগতসেরা। ধর্মনিরপেক্ষ তাদের শুধু সংবিধানে থাকলেও এটি পালিত করার দায় তাদের নেই। মুসলিম মরতে দেখলে তাদের প্রশাসন পুলিশ থাকে নীরব। মুসলিমরা তাদের ধর্ম পালন করবে কি, ধর্ম অনুমিত খাবারও খেতে পারে না। ৭১ পরবর্তী বাংলাদেশটি মুক্ত হোক এ পরাধীনতার নিগড় থেকে, এ কামনা প্রতিটি দেশপ্রেমিকের। প্রতিটি মিরজাফর উঁমিচাঁদ রায়বল্লভ, রায় দুর্লভ, ইয়ার লতিফ, ঘসেটি বেগমরা চায় দেশ ডুবুক, ধ্বংস হোক। দু’দলের দুটি গন্তব্য। একদল হবে আগুণের বাসিন্দা, অন্যদল ফুটন্ত ফুল বাগানের বাসিন্দা। তবে সততায় দাগ রেখে অটল থেকে কাজ করে যাওয়াই সততার নীতি। তাদের কর্মই তাদের স্থান নির্ধারণ করবে। সত্যের পথে যারা থাকে, তাদের হতাশার কিছু নেই। শত কষ্টের পরও তারাই হবে আ’লা, তারাই জগতসেরা।
২১ আগষ্ট ২০২০।