Articles published in this site are copyright protected.

বর্তমান বাংলাদেশ আকবরের আদর্শ উদাহরণ অনুসরণ করছে কি? বেশ ক বছর আগে অমর্ত্যসেন আবদার রেখেছিলেন মুসলিমরা যেন আকবরকে অনুসরণ করে। আজ আকবরের চালচিত্র নিয়ে একটু কথা না বললে নয় ! খুব সংক্ষেপে বলবো তিনি কি করেছিলেন। হিন্দুদের তিনি খুব পূজনীয় ছিলেন কিন্তু মুসলমানের কবর তিনি রচনা করেছিলেন ! তিনি এক নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন তার নাম “দীন-ই-এলাহী”, এ ধর্মে করণীয় = সূর্য্যপূজা বাধ্য / আকবরকে খলীফাতুল্লাহ প্রচার বাধ্যতামূলক / পর্দাপ্রথা রহিত/খতনা নিষিদ্ধ /  কবর দিতে কাবার দিকে পা দিয়ে শায়িত করতে হবে নয়তো কবরের দরকারই নেই নয়তো গমের প্যাক বা ইট বেধে লাশ পানিতে ফেলে দিতে হবে / গরু মহিষ মেষ উট খাওয়া নিষিদ্ধ করে বাঘ ভাল্লুক, সিংহ খাওয়া চলবে /  গরু ব্যবহার কোরবানী নিষিদ্ধ / আজান, জামাত নামাজ নিষিদ্ধ / হজ্জ্ব নিষিদ্ধ / কুকুর ও শুকরকে আল্লাহর কুদরত মনে করতে হবে / কুরআন অবিশ^াস করতে হবে / পুনরুত্থান ও শেষ বিচার অস্বীকার করতে হবে / প্রজা কর্তৃক সেজদা প্রবর্তন / সালামের পরিবর্তে আল্লাহু আকবর বলা / সালামের উত্তরে জাল্লা জালালুহু / (স্মরণযোগ্য আকবরের নাম ছিল জালাল উদ্দিন আকবর) /  জুয়াকে বৈধ করা ও সরকারী সহযোগিতা দান / মদ সুদ বৈধ /  দাঁড়ি মুন্ডন বাধ্যতামূলক / মুতাহ বিবাহের নামে এক অনাচারী মেয়াদী বিয়ের প্রচলন করেন / ফরজ গোসল রহিত / ইত্যাকার অবদানে ধন্য আকবরকে সব সময় ভারত ‘মহামতি’ বলেই প্রচার করে বড় গলাতে। যদিও বাকী বহুজন মুসলিম সজ্জ্বনের গায়ে কলঙ্ক তিলক লেপে দেয়া ! অমর্ত্যসেনের মত তখনকার হিন্দুরা বেজায় খুশী আকবরের এবম্বিদ উদাহরণে ! তারা খুশীর অতিশয্যে তার নাম দেন দিল্লিশ^র ও জগদ্বীশ^র, ওনামেই তারা তাকে ডাকে। আল্লাহু আকবরের বিবরণে প্রকাশ। তারা অনুরোধ করেন আকবরের আগে আবার আল্লাহ কেন ?  উত্তরে তিনি বলেন, মুসলিমদের জন্য আমিই আল্লাহ। তারপরও তারা নাখোশ হওয়াতে তিনি ওদুটো বাদ দিয়ে সালামের নতুন “আদাব” শব্দ ব্যবহার করতে আদেশ দেন । এরপর হিজরী সন বাতিলের অভিযোগ উঠলে তাও করা হয়। তাদের যুক্তি হচ্ছে কোন হিন্দু ওটি করলে আপত্তি উঠতো আর এটি করা এত সহজ ছিল না ! কিন্তু আকবর করাতে সাপও মরলো লাঠিও ভাংলো না।

“জনতার কথা” Real Public Voice

আকবর মসজিদগুলোকে গোদামঘর ও প্রজাদের ক্লাবঘরে রুপান্তর করেন। কিছু মসজিদ হিন্দু প্রজারা ভেঙ্গে ওখানে মন্দির নির্মাণ করেন। আকবরের কাছে মুসলিমরা এর প্রতিবাদ করলে তিনি জবাবে বলেন, মুসলমানদের এর প্রয়োজন ছিল না। থাকলে ভাংগা সম্ভব হতো না। মন্দিরের প্রয়োজন, তাই মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। তার যুক্তি ছিল দুটোই ধর্মস্থান। মসজিদের বদলে মন্দির অসুবিধা কোথায়, তাই নতুন মসজিদ নির্মাণ বন্ধ করে দেয়া হয়। সেদিন নবী মোহাম্মদ (সঃ) ছিলেন আকবরের প্রতিদ্বন্দ্বী ! এছবাতুন নবুয়ত, রিসালায়ে তাহলীলিয়া, মুনতাখাবুত্ত ওয়ারিখ, Mujjadis Conception of Towhid, `Awn-ul-Mabud’ `Kalematul Hoque’    এসব গ্রন্থ এসব সাক্ষ্যে ভরপুর। যদিও ভারতের চলমান সাহিত্যে এসব অনুপস্থিত, মহামতির এসব সুবাস চেপে রাখা। এত উল্লম্ফন ভালো না ! আকবরের শেষ পরিণতিটা একটু পরখ করে নেই। ১৫৭৯ সালে ফতেহপুর সিক্রীর প্রধান মসজিদে আকবর তার দালাল উলামা দলকে সাজিয়ে পাঠালেন। দালাল কবি ফৈজীর রচিত আকবরবন্দনা কবিতা হাতে তিনি উচ্ছ্বসিত ! এবার কেন যেন সব আন্ধার হয়ে আসতে লাগলো ! অলক্ষ্যে হাতও বুকের উপর চলে এলো ! তারপরও আগ্রহের কমতি নেই ! প্রথমে চোখ তারপর কন্ঠ বিদ্রোহ করে উঠে ! কেন জানি কথা জড়িয়ে আসে ! মিম্বর থেকে মহামতি নামলেন। সবাই হতবাক ! অবশেষে বললেন, জোর করে নয় ইচ্ছা হলে যে কেউ এ নতুন ধর্ম দীন-ই-এলাহী গ্রহণ করতে পারেন। এক ইংরেজ ঐতিহাসিক এ ঘটনার বর্ণনা করেন। “কিন্তু এই ঘটনায় ভাবাবেগের সঞ্চার হল, তা যে দৃঢ়চিত্তে প্রবল শত্রুর মোকাবেলায় কখনো বিচলিত হয়নি, তাকে অভিভূত করেছিল; যে হৃদয় সকল বিপদেও শান্ত থাকতো এখন তা দ্রুত স্পন্দিত হতে লাগল। যে কন্ঠস্বর যুদ্ধের তুমুল হট্টনিনাদ ছাড়িয়ে উর্ধ্বে শ্রুত হত, এক্ষণে বালিকার কন্ঠের ন্যায়ই তা ভেঙ্গে পড়ল। প্রথম তিন ছত্রের উচ্চারণ সমাপ্ত করার পূর্বেই সমরাট নকল নবীকে সেই উচ্চ হতে নেমে আসতে হয় (টার্কস অব ইন্ডিয়া, পৃঃ ৬৯ দ্রষ্টব্য)। সে তিন লাইনের মূল ভাব ছিল “কোন ভাষা এমন নেই তার গুণগান করি, আল্লাহু আকবর হলেন সেই মহান আল্লাহ।” তারপরও যদি কেউ বাড়তি আকবর সম্বন্ধে আরো জানতে চান পড়তে পারেন একটি লেখা লিংক এড্রেস হচ্ছে  বাদশাহ আকবরের সম্পর্কে ঐতিহাসিক বর্ণনা

প্রায়ই লিংকগুলি মুছে দেয়া হচ্ছে। বাস্তবতা এখানেই উপরে।

Mufti Fayezullah and nurul kabir ,live talk

সম্প্রতি বাংলাদেশের পাঠ্যবইএর কিছু পাঠ দেখে বিস্ময়ে হতবাক হচ্ছি ! সপ্তম শ্রেণীতে দূর্গাদেবীর বন্দনা, অষ্টম শ্রেণীতে যেভাবে আকবরী ধর্ম প্রচলিত হচ্ছে তা বিস্ময়কর ! যেভাবে ব্যভিচারের প্রশিক্ষণ পাঠের মাঝে দেয়া হচ্ছে তা অবাক করার বিষয়। সংক্ষেপে খুব কৌশলে নিজেকে জানুন’ কলামে বলা হচ্ছে দুজনের সম্মতিতে যৌন অনুভূতি প্রকাশ দোষের নয় ! ছেলে মেয়ের বন্ধুত্ব দোষের নয়। পাঠের মাঝে ভাল লাগা, যৌন অনুভূতি, যৌন আকর্ষণ, চিঠি লেখা, হাত ধরা, দেখা করা, কোন ক্ষেত্রে আর একটু কাছে আসা ! এসব কি? হানিমুনের প্রশিক্ষণ মধুচন্দ্রিমার উল্লম্ফন ! কোমলমতি বাচ্চাদেরে নিয়ে এসব কি নষ্টামীর খেলা একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে? ছিহ ! আপনারা সারা দেশে বাচ্চাকাচ্চাসহ রাস্তায় নেমে আসুন ! জাতি ধ্বংসের কি খেলায় সরকার মজেছে ! এসব ব্যভিচারের প্রশিক্ষণ ছাড়া আর কিছু নয় ! এর শাস্তি কি হতে পারে ! কঠোর প্রতিবাদ বাপ মায়ের প্রতিটি অভিভাবকের জরুরী হয়ে পড়েছে, কুরআনকে তাদের জরুর পাঠের অংশ করেন যেন তারা এর বাণী আহরণ করে হজম করতে পারে, অনুবাদ ধরিয়ে দিবেন, আপনারা অভিভাবকরা পিছিয়ে পড়েছেন। সুরা নূরে বর্ণিত ব্যভিচারের আয়াতটি তাদের শিখিয়ে দিবেন। কারণ শিক্ষকরা আর শিক্ষক নেই, মেরুদন্ড হারা প্রজাতি হয়ে বাধ্য হয়েছে আজ দানবের পাঠদানে ! দজ্জাল আজ দোয়ারে ! তাদেরে সতর্ক করুন, ঘরে ঘরে বাচ্চাদেরে তাদের জীবন গঠনের সুশৃংখল জীবনের সূত্র সিলেবাস কুরআন ধরিয়ে দেন। বের করে বুঝে নিজেরাও পড়েন ও প্রচার করুন। ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী দুজনের শাস্তি হচ্ছে ১০০ প্রকাশ্য বেত্রাঘাত। প্রকাশ্য এ কারণে যেন মুমিনদের একটি দল তা দেখতে পায়, ওপথ না মাড়ায়। পড়েন সুরা নূরের ২ আয়াত। ব্যভিচার হচ্ছে এক ধরণের অশ্লীলতা ! হুমায়ুন আজাদের কাছে তা মধুর হলেও ইসলামের কাছে আল্লাহর দৃষ্টিতে তা অশ্লীলতা ! ৯০%এরও বেশী জনতার দেশে কোন সাহসে কোন ব্যক্তি এসব সংযোজন করে ? পাঠ্যপুস্তকের কবি আলাউলের হামদের শুরুরবিসমিল্লাহসরিয়ে মঙ্গলকাব্যের অন্নপূর্না দেবীর তোষামোদে সিলেবাস সাজানো হয়েছে ! ময়দান থেকে গণতন্ত্র যেমন অতীত, একই তালে আজ অগণতান্ত্রিকভাবে রামায়ন, মহাভারত, রাধাকৃষ্ণলীলা, দূর্গাদেবী তাদের উপর জবর দখলি করে চাপিয়ে দেয়া কেনযে ভাবে জাতি ধ্বসের দিকে ধাবিত হচ্ছে, জাতিকেই এ থেকে কঠোর হস্তে মুক্তির পথ খুঁজে নিতে হবে !  জাতি যেন তার নিজগুণে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন করতে শিখে ! কুরআনে নির্দিষ্ট করে দেয়া ব্যভিচারের শাস্তি একশ বেত্রাঘাত।

আর ব্যভিচারের ধারেকাছেও যেও না, নিঃসন্দেহ তা একটি অশ্লীলতা, আর এটি এক পাপের পথ (সুরা বনি ইসরাইলের ৩২ আয়াত)

পাঠ্যবই নিয়ে টকশোতে হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি ফয়জুল্লাহর যুক্তিপূর্ন কথা

নাজমা মোস্তফা,  ২৩ মার্চ ২০১৬ সাল।

Leave a comment