২০১৭ সালের সাম্প্রতিক সংযোজন: হিন্দু বাড়ীতে আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ করার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। ঢাকার কদমতলা রাজারবাগের কালীবাড়ী নামক এলাকায় অধিকাংশ হিন্দু বাড়ীতেই অস্ত্র মজুদ রাখার সংবাদ আসছে। চিত্ত রঞ্জন দাস নামের স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক হিন্দু নেতা অস্ত্র সরবরাহের যোগানদাতা। একই ব্যক্তি আবার হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নামের সংগঠনের সাথেও জড়িত। বেশ দিন থেকে এসব দুর্ঘটনার পেছনে এভাবে কাঠখড় পুড়ানো হচ্ছে। বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কমের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট এর বরাতে ২০১৪ সালের ০৪ জুলাই তারিখে জানা যায় মন্দির ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে হিন্দু সংগঠন থেকে হিন্দু নেতারা এ রকম ডাক ছাড়েন। এরা প্রকারান্তরে এ সরকারের লেজুড় বাহিনী সব সময়। এখন তারা প্রচার করছে এটি সরকার ও বিরোধীরা মিলিতভাবে করছে আর একের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন এই সুযোগের সুবাদে তারা একে হালাল করে দাঙ্গা সৃষ্টির তালে আছে। সারা দেশে নানান অপকর্মে হিন্দুরা শক্তভাবে জড়াচ্ছে আর উদোর পিন্ডি ভুদোর ঘাড়েও চাপাচ্ছে। এটি আর একটি অপকর্ম করার সুযোগ সৃষ্টির নমুনা নয় সেটি বলার অবকাশ কম। তাছাড়া সরকারের ভূমিকা ও অস্পষ্টতা অনেক সময় সরকারী অপকর্ম স্পষ্ট করে। ধারণা হয় এটি বিরোধী দমনের সরকারী টুল হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সম্প্রতি সারা দেশে জেলায় জেলায় থানায় থানায় গত ছয়মাসের মধ্যে হিন্দুরা গীতা স্কুল উদ্ভোধন করছে (মার্চ ১৮ ২০১৬)। উদ্দেশ্য বাংলাদেশের হিন্দু বাচ্চাদেরে যুদ্ধ পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে। মনে হচ্ছে দেশে বড় ধরণের দাঙ্গার সৃষ্টির উসিলায় এসব সাজ করা হচ্ছে। যেখানে আরবী বইকে জিহাদী বই প্রচার করে ধড়পাকড় নাটক চলছে সেখানে ছাত্রদের অস্ত্র শিক্ষা দানের মাধ্যমে এটি হচ্ছে বাস্তবের যুদ্ধ নাটকের বর্ধিত অংশ মাত্র। খুলনার কয়রায়, বগুড়ায়, শ্রীমঙ্গলে একের পর এক, হবিগঞ্জে দুটি, চাঁদপুরে, উত্তর কাট্টালীতে দুটি গীতা স্কুল উদ্ভোধন করা হয়েছে। এসব যুদ্ধ হবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে, এ হচ্ছে ৫%-১০% হিন্দু সম্প্রদায়ের সাম্প্রতিক অপকর্মের দাগচিহ্ন।
ব্লগে ফেইসবুকে এসব খবর আমাদের তথ্য প্রমাণসহ আসছে। “হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙ্গার গোপন রহস্য” শিরোনামে লেখাটিতে বোকা হাদারাম মুসলিমরা সেটি সাম্প্রতিক জেনেছে। আমার কথা হচ্ছে কোন অপরাধীই কেউ কোন দিনও কোন লাভ জমা করতে পারবে না কারণ অদেখা আল্লাহ যদি অলক্ষ্যের দ্রষ্টা হয়ে থাকেন তবে সব অপরাধিরা অবশ্যই ধরা খাবে চিহ্নিত সেই বড়দিনে। যখন সবাইকে এক বড় মজলিসে একত্র করা হবে শেষ ময়দানে। তখন কিন্তু পালিয়ে যাবার ফুরসত পাবেন না। হয়তো এই সত্য প্রকাশকারীরা সেদিন বড় দাওটি মেরে দিবেন তার সত্যবাদিতার জন্য যাকে আপনারা বাকী অপকর্মী অনুসারীরা হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। তথ্য প্রমাণসহ এসেছে কিভাবে জায়গা জমির জন্য হিন্দুরাও মুসলিমদেরে ঘাটের জল খাওয়াতে হামলা মামলায় বড়দাগে এসব করছেন কারণ বাংলাদেশে হিন্দুদের রক্ষার্তে সব সরকারই অতিরিক্ত সচেতন থাকে এটি আমরা যেমন জানি, সারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুসহ সবাই জানেন। দেখা যায় প্রায় সময়ই মন্দিরে ঢুকে মুর্তিটির মাথা ও ধড় আলাদা করা হয়। তিনি দেখিয়েছেন এটি ভাঙ্গার ফলে কি কিছু হয় হিন্দুদেরই কি ক্ষতি হয় আর মুসলিমদেরই বা কি লাভ জমা হয়? মাঝখানে সুযোগসন্ধানীরা এর ফায়দা লুটে ঘরে উঠায়। এটি প্রমাণ করতে একে একে ১১টি লিংক এড্রেস যেখানে প্রতিটি ঘটনার বাস্তবতা প্রমাণিত। এসব হচ্ছে শেরপুর, রাজবাড়ী, পিরোজপুর, সিলেট, ভোলায় জমিজমার বিরোধে যুবলীগ নেতাকেও ফাঁসিয়েছে হিন্দুরা, নীল ফামারিতে, সাতক্ষীরাতে কুড়িগ্রামে পুকুরের জায়গা নিয়ে পেটালো হিন্দুরা। উল্টো ছাত্রদের বিরুদ্ধে মন্দির ভাংগার অভিযোগ উত্থাপন করে। চাঁদপুরে, লিংকসহ প্রতিটি ঘটনার প্রামান্যতাসহ এর সত্যতা নিশ্চিত হয়। জমির দখল নয়তো প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এসব করা হচ্ছে।
প্রায়ই লিংকগুলি মুছে দেয়া হচ্ছে। বাস্তবতা এখানেই নীচে।
হিন্দুদের মন্দির কে ভাঙছে? চলুন শুনি এক হিন্দু ভাইয়ের কাছে.
হিন্দুদেরও স্মরণ করলে ভালো হয় ভগবানই বলেন আর ঈশ^রই বলেন তাঁর দৃষ্টি থেকে কারোই নিস্তার মিলবে না। সবাই সবদলের আসামীরা সেদিন একবাক্যে জ¦লন্ত শাস্তিখানাতে কঠিন অগুনের ও পাথরের খোরাক হবেন, বন্দীত্বের প্রহর কাটাবেন। সেখান থেকে বের করে এমন সাধ্য কারো হবে না। মুসলিমরা এসব করলে তারাও ঐ একই সাথে জ¦লবে একই তোষের আগুণে। আপনারা যদি মুসলিমদের সরলতার সুযোগে এটি করেন এর জন্য দ্বিগুন শাস্তি আপনাদের বরাদ্দে জমবে। এটি এড়িয়ে যাবার কোন শক্তি আপনারা অর্জন করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে মুসলিমরা তাদের অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও উদার মনোবৃত্তির জন্য বহু গুণ বেশী পুরষ্কৃত হবেন এটি নির্ঘাৎ বিনা বাক্যে বলা যায়। ফেসবুকের নয়ন চ্যাটার্জি এটি স্পষ্ট করেন যে, মাটির মূর্তি বা প্রতিমার প্রতি হিন্দুদের বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা বোধ নেই বলেই তারা অনায়াসে সেটি ভাংতে পারে। আর তাদের এসব অপকর্ম মেইনস্ট্রিম মিডিয়া জানলেও সেটি প্রকাশ করে না। বাংলাদেশের মিডিয়া সব সময় থাকে হিন্দুদের স্বার্থে, ঠিক ভারতের উল্টো। কারণ এরা তাদের অসাম্প্রদায়িক সার্টিফিকেট হারাতে চায় না। সবার শেষে তার আফসোস ছিল জানি না আর কতকাল এরা এসব করে যাবে। আমার জবাব হচ্ছে যতকাল তারা ঐ মূর্তিপূজার অসারতা বুঝতে সময় লাগে ততদিন তারা ঐ রকম অনাচারে দক্ষ থেকে যাবে। সারা কুরআন শরিফে এ ধারার অনাচারির উপর অনেক কথা এসেছে এরা শুরু থেকে শেষ অবধি মিথ্যার সাথে বসবাস করছে। আল্লাহ বলেন, “ওহে যারা ঈমান এনেছ! আল্লাহকে ভয় শ্রদ্ধা কর যেমন তাকে ভয়ভক্তি করা উচিত, আর তোমরা প্রাণত্যাগ করো না আত্মসমর্পিত না হয়ে” (সুরা ইমরান ১০১ আয়াত)। “ (হে মুহাম্মদ) এসব আল্লাহর নির্দেশাবলী যা আমরা তোমার কাছে পাঠ করছি সত্যের সাথে। আর আল্লাহ কোন প্রাণীর প্রতি অবিচার করেন না” (সুরা ইমরান ১০৭ আয়াত)। “তারা আল্লাহকে ভয়শ্রদ্ধা করুক এবং সততার সাথে কথাবার্তা বলুক”। “এমন কি যারা এতিমের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করবে তারা প্রবেশ করবে জ¦লন্ত আগুণে” (সুরা নিসার ৯/১০)। সবার স্মরণ রাখা উচিত, সুনির্দিষ্ট সঠিক বিচার অপেক্ষা করছে সবার জন্য প্রতিটি বিবেক সম্পন্ন প্রাণীর জন্য তা তারা যে কোন ধর্মের বর্ণেরই হোক না কেন, আল্লাহর বিচার সবার জন্য সমানভাবে বরাদ্দ।
পেট্রোল বোমার নাটক দেখেছি নামে দাগে প্রমাণসহ সরকার করছে তার দালাল গুন্ডাবাহিনী দিয়ে। কারণ তারা এভাবে বারে বারে ধরাও পড়েছে তবে শাস্তি হতে দেখা যায় ভিন্ন বিরোধী অনুসারীদের । এ সরকার এভাবে ফল্স ফ্ল্যাগ নাটক সাজাতে বেশ দক্ষ বহুদিন থেকে তার প্রমাণ আজ জাতির কাছে এক দুইটি নয়, অনেকই আছে। প্রায়ই ফেসবুকে ব্লগে এসব রঙ্গরসের খবর জনতারা দিনে দিনে জানছে। এর শুরুটা মনে হচ্ছে তসলিমা শুরু করেছিলেন ধর্মে নষ্ট কথার গোজামিল দিয়ে। প্রকৃত সত্যে প্রবেশ না করে তিনি বিদেশী দালালদের গুটি হয়ে ব্যবহৃত হয়েছিলেন। উদাহরণ হিসাবে কিছু যুক্তি দিচ্ছি। ভারতের দুটি পত্রিকায় বলা হয়েছে যে বিজেপি তসলিমা নাসরিনকে লজ্জা উপন্যাস লেখার জন্য ইতিমধ্যে ৪৫লক্ষ টাকা দিয়েছে। তসলিমা কলকাতার সল্ট লেকে বাড়ী কেনার জন্য সেখানে পরিচিতদের বাড়ী খুঁজতে বলেছেন। ইতিমধ্যে তিনি ঢাকাতে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। (দৈনিক ইনকিলাব ২৯-১০-৯৩ সংখ্যা)। তার চোখে রবীন্দ্রনাথ হলেন ঈশ^র, বাংলাদেশ হল শালা শুয়োরের বাচ্চা (সাপ্তাহিক পূর্নিমা ৩-১১-৯৩)। “সাম্প্রদায়িকতা ও যৌনতার সংমিশ্রণে লিখিত তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ ইতিমধ্যে সরকার বাজেয়াপ্ত করে। এতে বিজেপির আদেশে তসলিমা লিখেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় কেবল হিন্দুরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, নির্যাতীত হয়েছে এবং খুন হয়েছে। তাদের বাড়ীঘর আগুণ দিয়ে জ¦লিয়ে দেয়া হয়েছে। মুসলমানদের কিছুই হয়নি। মুসলমানরা হিন্দুদের সাহায্যে এগিয়েও আসেনি। এ ধরণের উক্তি করে তিনি স্বাধীনতাকে এবং মুক্তিযুদ্ধকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন (ইনকিলাব ২৯-১০-৯৩)। অন্যত্র —তসলিমা তার নির্বচিত কলামে বলেন, “পাকিস্তানী সৈন্য আমাদের টাকাকড়ি লুট করেছে, যাবার আগে পুড়িয়ে দিয়েছে বাড়ী, আমার বাবাকে ধরে নিয়ে বুট ও বেয়নেটে পিষেছে, দুই কাকাকে গুলি করে ফেলে রেখেছে রাস্তার মোড়ে, আমার ভাই এর ডান চোখ উপড়ে নিয়ে গেছে, এই মাসে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া তিন মামার দুজন ফিরে এসেছে, ষোল দিন পর ক্যাম্প থেকে ফিরে এসেছে আমার একুশ বছর বয়সের খালা। পড়শি যারা যুদ্ধ করেছে, কারো হাত নেই কারো পা”। উপরোক্ত মন্তব্য কি প্রমাণ করে না যে মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? তাহলে কি নাসরিন আপনার চৌদ্দপুরুষ কি কেউই মুসলমান ছিল না? নাকি শুধু নামেই তসলিম আর কাজে সবাই ফানুস?”(তসলিমার কলামের জবাব, নাজমা মোস্তফা, পৃষ্ঠা ৩৪,৩৭)। কিভাবে স্ববিরোধী কথা বলে তিনি গোটা বিশে^ একটি মিথ্যাচারের নটনাট্য সৃষ্টি কর্তে সক্ষম হয়েছিলেন, এটি তার উত্তম উদাহরণ হতে পারে। তার নিজের কথাতেই তিনি ধরা খান কিন্তু বিজেপি ঠিকই তাকে কিনে নিয়ে ঐদিন ব্যবসার রসদ ঠিকই জোগাড় করতে পেরেছে বড়মাপে। তিনি নাস্তিক, ঈশ^র মানেন না কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঈশ^র হলে মানেন। কই, রবীন্দ্রনাথ তো জীবনেও নিজেকে ঈশ^রত্ব দাবী করেন নাই। এরা হচ্ছে মগজ বিক্রি হওয়া আত্মবিক্রিত আত্মাহীন মানব জনতার অংশমাত্র। এমন কি পাকিস্তানের সময়ও হিন্দুরা এদেশে আয়েশে থেকেছে, তাদেরে কেউ ওভাবে নির্যাতন করেনি, শুনেছি এমন ধারার কথা সংখ্যালঘুদের থেকেই। বরং আমরা জানতাম ভারতে মুসলিম দাঁড়িওয়ালা টুপিওয়ালা হলে মানুষ বাসে ট্রেনে জায়গাই দিত না। সেটি তেমন বদলায় নি, আজো তাই বহাল আছে।
আমাদের সবাই প্রচার করেন হিন্দুরা গোবেচারা প্রকৃতির নিরীহ, আমরাও তাই মনে করতাম। কিন্তু ইদানিং আর বিশ^াস রাখা দায় হয়ে পড়েছে। হিন্দুদের মাঝে চরম ব্যতিক্রম এই নয়ন চ্যাটার্জি অনেক সত্যকে উন্মোচন করে দেখিয়েছেন। বাড্ডায় কুরআন পুড়ানো বিমল চন্দ্র সাধুর পরিচয়। সে নিমতলা মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তার নাম সার্চ দিয়ে গত বছর তার সম্পর্কে নয়ন চ্যাটার্জি একটি খবর ও ছবি পান। তিনি তার ফেইসবুকে ছবি ও তথ্য শেয়ার করেন। তিনি আধ্যাত্মিক সাধক শ্রী বিমল চন্দ্র (সাধু) ফোন নম্বর ৮৮৩৭৫২৩ বর্তমান ঠিকানা ল-২৪, পূর্ব মেরুল, নিমতলা মন্দির, বাড্ডা, ঢাকা, ১২১২। স্থায়ী বাসা ম-৬০, পশ্চিম মেরুল বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। তাদের দেয়া লিংকসূত্রে জানা যায় সেখানে সাধু মতে টোটকা চিকিৎসা দেয়া হয়। (তার মানে বিমল চন্দ্র অবৈধ ছলনার টোটকা ব্যবসার কারিগর)। “কুরআন পুড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাড্ডা-রামপুরা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন স্থানীয় মুসলমানদের” এটি পত্রিকার খবরের শিরোনাম। বাড্ডায় একটি কালী মন্দিরে প্রকাশ্যে মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ কুরআন আগুন দিয়ে পুড়ায় এক হিন্দু। বিষয়টি জানাজানি হলে, দায়ী বিমল চন্দ্রকে গ্রেফতার না করে উল্টো লুকিয়ে ফেলা হয়। এতে ক্ষেপে যায় স্থানীয় মুসলমানরা। দেখা যায় ছবিতে তারা গভীর রাতেও রাস্তা আটকে আন্দোলন বিক্ষোভ করছে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জলকামান দিয়ে মুসলমানদের দমন করার চেষ্টা করছে পুলিশ। বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো অজানা কারণে এসব খবর প্রচার করছে না। আর পুলিশ বিষয়টি এড়িয়ে গুজব বলে চালানোর চেষ্টা করছে, মন্দির রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়েছে, উল্টো আন্দোলনরত মুসলমানদের উপর বারে বারে আক্রমণ করছে, যেন মুসলমানরা আন্দোলন বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যায়। প্রতিটি সত্য তথ্য তিনি তুলে ধরছেন স্পষ্টভাবে।
এবার ছবিসহ পোস্টে দেয়া ভারতের মুসলমানদের শেষ নবীকে সমকামী বলে গালি দিয়েছে এক হিন্দু। ছবিতে দেখা যায় সেখানে মুসলিমরা প্রতিবাদী হয়েছে। কিছুদিন আগে ভারতের উত্তরপ্রদেশে হিন্দু মহাসভার নেতা কমলেশ তিওয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মুসলমানদের শেষ নবীকে গালাগালি করে সমকামী থাকার এক লিখিত বক্তব্য দেন। বিষয়টি নিয়ে ভারতে মুসলিমরা প্রতিবাদ করছে, অনেক স্থানে সমাবেশও হয়েছে। যদিও ভারতীয় ও বাংলাদেশী হিন্দুরা উভয়েই এ সমাবেশ নিয়ে অপপ্রচার করছে, উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে বলছে মুসলমানরা নাকি মালদায় থানা ভাংচুর করেছে। উদ্দেশ্য ঐ এলাকায় একটি হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাধানো। যদিও গোমর ফাঁস হয়েছে, মুসলমানরা নয়, থানা ভাংচুর কাজটি করেছিল স্থানীয় মাফিয়া গোষ্ঠী। আফিম চাষ, মাদক পাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ ইত্যাদি সংক্রান্ত নথিপত্র নষ্ট করতেই তারা থানা হামলা করেছিল। আর সাম্প্রদায়িক হিন্দুরা একটি মিথ্যা ইস্যুকে কেন্দ্র করে উস্কানি দিচ্ছিলো। একইভাবে আর একটি খবরের শিরানাম ছিল “হিন্দু কর্তৃক মুসলমানদের ঘরবাড়ী দখল” শিরোনামে তিনি প্রকৃত নির্যাতিতকে সচেতন করতে প্রশ্ন রাখেন, আপনারা কি জানেন কিভাবে হিন্দুরা ঘরবাড়ী দখল করছে? এটি নিশ্চয় সবাই জানেন কিভাবে প্রশাসনে ও পুলিশ বাহিনীতে ব্যাপক হিন্দু নিয়োগ দিয়ে এবার আওয়ামী সরকারের ঐ হিন্দুপ্রীতি কাজে লাগিয়ে অনেক এলাকায় হিন্দুরা মুসলমানদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করছে, জোরপূর্বক বাড়িঘর দখল করছে। যেমন (১) কিছুদিন আগে সব পত্র পত্রিকায় একটি ছবি এসেছিল। জমি দখলের প্রতিকার চেয়ে গণভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাড়িয়েছিল এক যুবক। এর কারণ ঐ যুবকসহ আরো শত শত মুসলিম পরিবারের ৬০ থেকে ৭০ বিঘা জমি বালু দিয়ে ভরাট করে দখলের চেষ্টা করছে অমল পোদ্দার নামক হিন্দু ব্যবসায়ী। ঐ এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করলে অমল পোদ্দার মিথ্যা মামলা সাজিয়ে মুসলমানদের জেলে ভরে এবং র্যাব দিয়ে হয়রানী করায়। এখানে তিনি লিংকসহ তথ্যসূত্রও দেন।
এটি এ বছর মে মাসের ঘটনা। মৌলভী বাজার জেলার জুড়ী কাপনা (পাহাড় সম্ভবত) চা বাগানে মুসলিম পরিবার উচ্ছেদ করে হিন্দুরা। তারও সিলেটের যুগভেরী পত্রিকাতে ছাপা হওয়া তথ্যসূত্র দেয়া হয়। রাঙ্গামাটিতে মসজিদের জায়গা দখল করে মন্দির বানাতে চাচ্ছে হিন্দুরা। এরও লিংকসূত্র দেয়া হয় সে তথ্যসূত্রে। তারপর প্রশ্ন রাখেন দেখেন কিভাবে সারা বাংলাদেশে প্রচার হচ্ছে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে অথচ মুসলমানরাও কিন্তু নির্যাতিত কম হচ্ছে না। নয়ন চ্যাটার্জি সব সময় নিপীড়িত জনগণের পক্ষে। তিনি এর জোর প্রতিবাদ করতে মুসলিমদেরে উৎসাহিত করেন ও জেলা প্রেসক্লাবে গিয়ে সমাবেশ করে একজোট হয়ে আন্দোলন করে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে উপদেশ দান করেন। সব থানাতে সরকার ভোটের পারিবারিক স্বপ্নে হিন্দু নিয়োগ দিয়েছে। প্রতিটি ঘটনা, পত্রিকা, সূত্র তথ্য বলছে এর প্রতিটি সংবাদই কঠিন সত্যের অংশ।
গো হত্যাকে মুসলিম পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয় বলে দাবী করেছেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সামির পিতা তৌসিফ আহমদ। সামি ও হাসিবের বাবা তৌসিফ আহমদ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, হাসিব ঐ ঘটনাস্থলে শুরু থেকে উপস্থিত ছিল না। সে অনেক পরে পৌচেছে ও অন্যান্যদের মত দর্শকের ভ’মিকায়ই ছিল। তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে দ্বন্দ্বে জড়ানো হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রথম পাতাতে তিনি আরো বলেন, গো হত্যাকে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। সামি ভারতীয় দলে খেলতে শুরু করার পর থেকেই তাদের সঙ্গে শত্রুতা করছে কেউ কেউ। এ বিষয়ে তিনি এর আগেও অভিযোগ করেছেন। আমরোহার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভেদপ্রকাশ জানান, তৌসিফ মাসখানেক আগে টেলিফোনে হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে কে বা কারা হুমকি দিচ্ছে, সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন নি। তাছাড়া সমানেই মুসলিমকে নিপীড়ন করা ভারতের ইতিহাসের এক লাগোয়া কাহিনী। গতকাল দেখলাম ট্রেনের যাত্রী এক দম্পত্তিকে গরুর মাংস থাকার কারণে নিগৃহীত করা হয়। কিন্তু তাদের কাছে গরুর মাংস ছিল না। এরা তারাই যারা ধর্মের নামে সারা জীবন মানুষ বলি দিতে পেরেছে, কিন্তু গরুর রক্ষক হয়ে আজো মানুষকে বলির পাঠা বানিয়ে রেখেছে।
“মোনাফিকদের সুসংবাদ দাও যে তাদের জন্য নিশ্চয়ই রয়েছে ব্যথাদায়ক শাস্তি যারা অবিশ^াসীদের বন্ধুরুপে গ্রহণ করে বিশ^াসীদের ছেড়ে দিয়ে। নিঃসন্দেহ তিনি মোনাফিক ও অবিশ^াসীদের একত্রিত করতে যাচ্ছেন জাহান্নামে” (সুরা নিসার ১৩৮/১৩৯ আয়াত)। “তোমরা যাদের শরিক করো তা থেকে তিনি মুক্ত” (সুরা আল আনআমএর ৭৯ আয়াত)। নীতি নৈতিকতার মানদন্ডে বিবেকের দায়বদ্ধতা নিয়ে সবারই চলা উচিত নয়তো অপরাধীর পরিণতি সবদিনই কম নয় বরং বেশী বহুগুণ বেশী।
নাজমা মোস্তফা, ১৮ই জানুয়ারী ২০১৬ সাল।
Leave a Reply